ট্রাম্পের ভারতের উপর ৫০% শুল্ক প্রস্তাব: উত্তপ্ত বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা।
আজকের প্রধান খবরের মধ্যে যা আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে তা হল -
- "ট্রাম্পের ৫০% শুল্ক প্রস্তাবে ভারত-মার্কিন বাণিজ্য অশান্ত"
- "মোদি সরকার কি জবাব দেবে? ভারতের শুল্ক বিকল্পগুলো বিশ্লেষণ"
- "ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধের হুমকিতে শেয়ার বাজার নিম্নমুখী"
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপর ৫০% শুল্ক আরোপ করবেন। এই ঘোষণা ভারত-মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্কে নতুন করে উত্তাপ বাড়িয়েছে, এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (MEA) ইতিমধ্যেই "প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা" নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
ট্রাম্প কেন ভারতকে টার্গেট করছেন?
- বাণিজ্য ঘাটতির অভিযোগ: ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে ভারতের উপর অভিযোগ করে আসছেন যে দেশটি ইস্পাত, ওষুধ ও টেক্সটাইল খাতে ৩০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত বজায় রেখেছে।
- "অনুচিত" শুল্ক: তিনি দাবি করেন, ভারত আমেরিকান পণ্যের উপর উচ্চ শুল্ক (যেমন: মোটরসাইকেলে ৭০%, গাড়িতে ৫০%) বসায়, অথচ নিজেদের পণ্য মার্কিন বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার চায়।
- রাজনৈতিক উদ্দেশ্য: বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ট্রাম্প তার সমর্থকদের খুশি করতে ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিচ্ছেন।
ভারতের জবাব
- MEA-র বক্তব্য: "ভারত তার অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।"
- প্রতিশোধমূলক শুল্ক: ভারত মার্কিন কৃষিপণ্য (আপেল, বাদাম) ও প্রযুক্তি পণ্যের উপর শুল্ক বাড়াতে পারে।
- শশী থরুরের সমালোচনা: কংগ্রেস নেতা এই পদক্ষেপকে "অর্থনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন" বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং মোদি সরকারকে দৃঢ়ভাবে আলোচনা করতে বলেছেন।
বাজার ও রাজনীতিতে প্রভাব
- শেয়ার বাজার: কোসপি এবং ভারতের সেনসেক্স-নিফটি সাময়িকভাবে নিম্নমুখী হয়েছে।
- মোদি-ট্রাম্প সম্পর্ক: যদিও মোদি ও ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো, বাণিজ্য বিবাদ সম্পর্কে চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
- বাইডেনের নীতি: বর্তমানে ভারতের উপর মার্কিন শুল্ক অপরিবর্তিত আছে, তবে ট্রাম্পের প্রস্তাব ভবিষ্যত নীতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
শুল্ক কী?
শুল্ক হলো আমদানিকৃত পণ্যের উপর কর, যা স্থানীয় শিল্পকে রক্ষা করতে বা বাণিজ্য সহযোগীদের চাপ দিতে ব্যবহার করা হয়। ট্রাম্প ২০১৮-২০২০ সালে চীন ও ভারতের উপর শুল্ক বসিয়ে বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধের সূচনা করেছিলেন।
পরবর্তী পদক্ষেপ কী?
- কূটনৈতিক আলোচনা: ভারত WTO-র সহায়তা নিতে পারে বা দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চাইতে পারে।
- নির্বাচন নজরদারি: ট্রাম্পের ফিরে আসার সম্ভাবনা ভারত-মার্কিন বাণিজ্য ($১৩০ বিলিয়ন) ব্যাহত করতে পারে।

